বিশ্ব বাবা দিবস বা ফাদার্স ডে / Father's Day

 


বিশ্ব বাবা দিবস, যাকে ফাদার্স ডে হিসাবেও জানা যায়, প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয়। এই দিবসটি বাবা এবং পিতৃত্বকে সম্মান জানাতে পালিত হয়। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ দিবসটি বিভিন্ন দিনে উদযাপিত হতে পারে, তবে জুন মাসের তৃতীয় রবিবারই সর্বাধিক জনপ্রিয় তারিখ হিসেবে বিবেচিত হয়।

বাবা দিবসের উৎপত্তি সম্পর্কে বলতে গেলে, এটি প্রথম উদযাপিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। ১৯০৮ সালে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার ফেয়ারমন্টে এক চার্চ সার্ভিসে প্রথমবারের মতো বাবা দিবস উদযাপিত হয়। এরপর ১৯১০ সালে ওয়াশিংটনের স্পোকেন শহরে সোনোরা স্মার্ট ডড নামের একজন নারী বাবার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জুন মাসের তৃতীয় রবিবারকে বাবা দিবস হিসেবে উদযাপন করার প্রস্তাব করেন। ডডের বাবা, উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট, একজন সিঙ্গেল প্যারেন্ট ছিলেন এবং তার বাবার অনুপ্রেরণায় তিনি এই দিবসটি উদযাপনের উদ্যোগ নেন।

বাবা দিবস উদযাপনের প্রধান উদ্দেশ্য হলো বাবাদের প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। এই দিনটিতে সন্তানেরা তাদের বাবাকে উপহার দেয়, বিশেষ খাবার রান্না করে, অথবা বিশেষ সময় কাটানোর মাধ্যমে তাদের ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। অনেক দেশে বিশেষ অনুষ্ঠান, প্যারেড, এবং গীর্জার সেবা আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশে বাবা দিবসও বেশ গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়। বাংলাদেশে বিশেষ করে শহুরে এলাকায় বাবা দিবসের উদযাপন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনেক পরিবারে এ দিনটি বাবার জন্য বিশেষ উপহার দেওয়া, বাবাকে নিয়ে বাইরে ঘুরতে যাওয়া বা বিশেষ খাবার রান্না করে উদযাপন করা হয়। এছাড়া, সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতেও বাবা দিবস উপলক্ষে বাবার প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্ট দেওয়ার প্রচলন রয়েছে।

বিশ্ব বাবা দিবস
বিশ্ব বাবা দিবস প্রতি বছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার উদযাপিত হয়, যা পৃথিবীজুড়ে বাবাদের সম্মান জানাতে এবং তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি দিতে পালিত একটি বিশেষ দিন। এই দিনটি মূলত পিতৃত্বের গুরুত্ব এবং পরিবারের প্রতি বাবাদের অবদানকে সম্মান জানানো হয়।

ইতিহাস এবং উৎপত্তি
বিশ্ব বাবা দিবসের উৎপত্তি ১৯০৯ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। এটি সোনোরা স্মার্ট ডড নামক এক মহিলার উদ্যোগে শুরু হয়, যিনি তাঁর বাবাকে সম্মান জানাতে এই দিনটি পালনের প্রস্তাব করেছিলেন। তাঁর বাবা, উইলিয়াম জ্যাকসন স্মার্ট, একজন সিভিল ওয়ার ভেটেরান, যিনি একাই ছয়টি সন্তানকে লালন-পালন করেছিলেন। প্রথম বাবা দিবসটি ১৯১০ সালে ওয়াশিংটনের স্পোকেন শহরে উদযাপিত হয়।

উদযাপনের রীতি
বিভিন্ন দেশে বাবা দিবস উদযাপনের রীতি ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত পরিবারের সাথে সময় কাটানো, উপহার দেওয়া, এবং বিশেষ খাবারের আয়োজনের মাধ্যমে এই দিনটি পালিত হয়। সন্তানেরা তাদের বাবার প্রতি ভালোবাসা এবং সম্মান প্রকাশ করার জন্য কার্ড, ফুল, এবং বিভিন্ন উপহার দিয়ে তাঁদের আনন্দিত করে। অনেক সময় বাবাদের পছন্দের খাবার রান্না করা, পারিবারিক ভ্রমণের আয়োজন করা, কিংবা বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।

আধুনিক প্রেক্ষাপট
আধুনিক সময়ে বাবা দিবস কেবলমাত্র বাবাদের সম্মান জানানোতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি পিতৃত্বের ভূমিকা এবং পরিবারের গুরুত্বকে তুলে ধরার একটি সুযোগ হিসেবেও দেখা হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং ইন্টারনেটের কারণে বাবা দিবস উদযাপন আরও বিস্তৃত হয়েছে, এবং বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এবং বাবাদের সম্পর্কে তাদের ভালোবাসা শেয়ার করে এই দিনটি উদযাপন করে।

সংক্ষেপে, বিশ্ব বাবা দিবস আমাদের পিতাদের প্রতি সম্মান, ভালোবাসা এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি বিশেষ দিন। এটি একটি সুযোগ যা আমাদেরকে আমাদের জীবনে বাবার অবদান ও ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

Post a Comment

Previous Post Next Post